নষ্ট প্রজন্ম বা A Spoiled Generation প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২৬ এপ্রিল ২০০৪ সালে আয়ারল্যাণ্ডের দৈনিক The Irish Times এ। এটি প্রবন্ধটির বাংলা অনুবাদ।
আপনার কাছে এটি একটি রাগের বশে অযৌক্তিক আচরণ মনে হতে পারে। শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রবার্ট শ এর কাছে এটি ধ্বংসের দিকে পদক্ষেপের সূচনা। আর এর জন্য বাবা-মারাই দায়ী, জোয়ানা মুর্হ্যাড প্রতিবেদন করেন।
বাবা-মারা ভুল করছেন। শুধু যে একটু ভুল তা নয়, শুধু কোনো জায়গায় ঘোরাফেরা, নিজেকে একটু ফুরফুরে করে তোলা, সবকিছু-ঠিক-হয়ে যাবে এমন ধরনের ভুল নয়, বরং তা ভয়াবহতরভাবে, বিশালভাবে করা এক ভুল। আমরা আমাদের বাচ্চাদের জীবনকে নষ্ট করে দিচ্ছি – এবং সেই কারণে আমরা আমাদের নিজেদের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছি এবং প্রত্যেকের ভবিষ্যতকে নষ্ট করছি। আমরা সতর্কতা সংকেত মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছি এবং একটি বিশাল, বিপর্যয়কর দুর্ঘটনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
নষ্ট প্রজন্ম কি/ spoiled generation?
আমেরিকান শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রবার্ট শ, যিনি মন্দ সন্তান লালন-পালনের উপর The Epidemic লিখেছেন, যে বইটি যুক্তরাষ্ট্রে ঝড় তুলেছে। বইটিতে একটি অস্বস্তিকর বার্তা রয়েছে। আজকের শিশুরা আবেগের বিকাশ রুদ্ধ হওয়া ব্যক্তি, যাদের প্রতিটি আকাঙ্ক্ষাই এমন একটি প্রজন্ম তৈরিতে লিপ্ত হয়েছে যারা অন্য মানুষের অনুভূতি এবং চাহিদার প্রশংসা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে সবাই কেবল ঘ্যানঘ্যান করা, খ্যাচখ্যাচ করা, অভিযোগ করা তরুণ-তরুণী যারা পিতামাতার নৈতিক যোগান ছাড়া অর্থনৈতিক বিলাসিতার কোলে লালিত-পালিত হচ্ছে, যাদের হয় পিতামাতা নেই, নয় তারা অধিক পরিমাণে শিথিল।
শ’র মতে, তার ফলাফল হলো আনন্দহীনতার, স্বার্থপর মানুষদের সহানুভূতি বা অন্যের প্রতি কর্তব্যের অনুভূতি ছাড়াই জীবন যাপনের মহামারী। এই বিপর্যয় কেবল নিদিষ্ট কোনো এটি পরিবারের জন্য নয়, বরং সমস্যাটির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এটি সামগ্রিকভাবে সমাজের জন্য একটি বিপর্যয়।
শ’র একটা গর্বের বিষয় হলো হল যে তার চিকিৎসা অনুশীলনের সময় মুখোমুখি হওয়া মন্দ সন্তান লালন-পালন বা প্যারেন্টিংয়ের উদাহরণ দিয়ে তাকে তার বইটিকে ব্যাখ্যা করার দরকার নেই। তিনি বলেন, প্রয়োজন নেই এই জন্য যে তার চারপাশে বা আমাদের চারপাশে তার প্রমাণ রয়েছে – তাই তিনি সে কর্নারের কোন দোকান থেকে, স্থানীয় রেস্তোরাঁ এবং পার্ক থেকে তার উদাহরণ সংগ্রহ করেছেন।
তিন বছর বয়সী এক বাচ্চার কথা ধরা যাক, যার বাবা-মা কাজ থেকে এতই ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যে তারা রান্না-বান্না করতে পারে না, যার কারণে তারা তাদের বাচ্চাটিকে তাদের সাথে একটি রেস্তোরাঁয় টেনে নিয়ে যান এবং তারপর বাচ্চাটি যখন মেঝেতে তার খাবার ফেলে দেয়, টেবিলের নিচে চলে যায় এবং অন্যদের টেবিলের আশেপাশে দৌড়ে বেড়ায় তখন তারা তাকে উপেক্ষা করে।
অথবা চার বছর বয়সী এক বাচ্চার কথা যখন তাকে তার বাবা তার বন্ধুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে গেলে তার চোখে জল আর চিৎকারের মুখোমুখি হন এবং বেপরোয়া হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এবং তার সন্তানকে দরজা থেকে বের করে নিয়ে আসতে হুমকির দ্বারস্থ হন। অথবা ধরা এক যাক ১২ বছর বয়সীর কথা, যাকে তার মা কিছু করতে বললে মা’র দিকে প্রতিবাদী ভঙ্গিতে তাকিয়ে ঠিক তার উল্টোটাই করে বসে।
একটু অস্বস্তি লাগছে? আমার মনে হয় না আমিই একমাত্র বাবা যে এইসব নমুনার মধ্যে তার নিজের পারিবারিক জীবনের প্রতিধ্বনি দেখতে পাবেন। শ বলেন, সমস্যাটি চতুর্মূখী। প্রথমত, আমরা আমাদের বাচ্চাদের সাথে যথাযথ সম্পর্কের বন্ধন তৈরি করছি না, তা হতে পারে তাদের জন্মের প্রথম কয়েকমাস বা মাসগুলিতে বা তাদের পুরো শৈশবে-জুড়ে। দ্বিতীয়ত, আমরা তাদের খুব বেশি টেলিভিশন দেখতে দিচ্ছি।
(এই দশকে আমরা নিজেরাই অনুধাবন করতে পারি আমাদের বাচ্চারা বা আমাদের চারপাশের বাচ্চারা কতটুকু সময় তারা স্মার্ট-ফোনের সাথে কাটায়। বাড়ির কাজের লোকটি বা মা-বাবারা তাদের সন্তানদের কান্নার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ডিভাইস বা মোবাইল হাতে তুলে দিয়ে শান্ত রাখতে চেষ্টা করে।)
ক্যালিফোর্নিয়ার তার বাড়ি থেকে শ বলেন, “টিভিতে ভালো কিছু নেই। লোকজন বলে যে সিসেইম স্ট্রিট (আমেরিকান টেলিভিশন সিরিজ, যেমন আমাদের মুটু পাতলু বা ড্যুরেমন ইত্যাদি) এর মতো টিভি শো থেকে তাদের বর্ণমালা শিখতে পারে, কিন্তু আমি বলব যে তাদের সাথে বসা এবং তাদের জড়িয়ে ধরে তাদের বইয়ের দিকে দৃষ্টি দেওয়া বাবা-মায়েদের জন্য আরও অধিক উত্তম: এভাবে তারা আরও ভাল শিখতে পারে।” তৃতীয়ত, আমরা তাদের সঠিক নৈতিক ভিত্তি তৈরি করে দিতে ব্যর্থ হচ্ছি।
শ বলেন, অবশ্য, তারা যখন তাদের সহপাঠী বা বন্ধুবান্ধব এবং প্রচার মাধ্যম দ্বারা প্রভাবিত হয় তা আরও বেশি কষ্টদায়ক হয়ে উঠে, কিন্তু সেই কারণেই আমাদের তা মোকাবেলা করার প্রক্রিয়ায় থাকা দরকার। এবং চতুর্থত, তারা কেবল একটু আড্ডা দেওয়ার জন্য, একাকী সময় কাটানোর জন্য, বাতি নিভিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট অনির্ধারিত সময় পাচ্ছে না: আমরা খুব প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছি, তাদের কৃতিত্ব এবং তাদের সাফল্য সম্পর্কে অত্যধিক মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছি আমরা, এবং আমরা তাদের প্রথম বছরগুলি থেকেই সেইসব দিয়ে কানায় কানায় ভরিয়ে তুলছি।
ফলশ্রুতিতে শিশুরা, যাদের দ্বারা তাদের প্রভাবিত হওয়া উচিত ছিল, যেমন পিতামাতা, তাদের চেয়ে তারা বাহ্যিক শক্তির দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। তারা নিষ্ঠুর, অবন্ধুত্বপূর্ণ, ব্যস্ত। তারা ক্রমাগত মনোযোগ দাবি করে। তারা প্রায়শই অসভ্য এবং উদ্ধত। তাদের বৈদ্যুতিক খেলনা এবং মিডিয়া দ্বারা শান্ত হতে অভ্যস্ত যা তাদের যোগাযোগে অসমর্থ করে তোলে এবং তাদের মনোযোগের সময়কে সংক্ষিপ্ত করে দেয়। সেই ভয়ঙ্কর কথায় তারা একটি নষ্ট প্রজন্ম: কেবল আমাদের জন্য বা তাদের বাবা-মা’র জন্য তারা নষ্ট হয়েছে তা নয়, বরং সাধারণভাবে সারা বিশ্বের জন্য।
শ এর জন্য বিড়ম্বনা হল যেসব বাবা-মা’র কাছ থেকে তাদের সন্তানদের জন্য সেরাটা করার আশা করার কথা, সেসব বাবা-মা’রাই আসলে সবচেয়ে খারাপ করছে। “আমি যে সমস্যাটির কথা বলছি তা আসলে প্রাথমিকভাবে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত পরিবারগুলির একটি বিশেষ সমস্যা। অতীতে যেসব পরিবারে সন্তানেরা ভালো করবে বলে আশা করা হয়েছিল স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা এমন পরিবার, যেখানে বাবা-মা দুইজনই কর্মজীবী, বা যেখানে প্রচুর পরিমাণে টাকা-পয়সা রয়েছে কিন্তু কেবলমাত্র বাবা-মা’র পর্যাপ্ত সময় নাই … সেখানেই সমস্যাটি রয়েছে। আর আপনি তার পরিণতি দেখতে পারেন, অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে সফলতার স্তর বস্তুত গরীব এবং ধনী শ্রেণীর মধ্যে স্থিতি নিয়ে আসছে: একটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এই দুই শ্রেণীর মানুষের মাঝে সন্তান-লালনপালনের গুনগতমানের পার্থক্য পরিবর্তিত হচ্ছে”।
শ স্বীকার করতে পেরে খুশি যে, তিনি যেসব বাবা-মাকে চ্যালেঞ্জ করছেন তারা অনেক প্রতিবন্ধকতার দ্বারা ব্যাহত হচ্ছে যা আজকের পারিবারিক জীবনের পটভূমি তৈরি করে: প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, সর্বব্যাপী টেলিভিশন, সাধারণ মাদক ব্যবহার, ভোগবাদ ইত্যাদি।
কিন্তু মনে হয়, তার যুক্তির মূল কারণটি তার জোর দিয়ে বলার উপর নির্ভর করে যে, বিগত প্রজন্মের পারিবারিক জীবনের পরিবর্তন হয়েছে যেখানে পরিবারের একজন বাড়ির বাইরে কাজ করতো আর এখন বাবা-মা উভয়ই বাড়ির বাইরে কর্মরত। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শ যেমনটি মনে করেন, এই ব্যস্ততা বাচ্চাদের কাছ থেকে পিতামাতার সময় চুরি করেছে।
অতীতে শিশুরা যে সময়টা পিতামাতার (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একজন মা) বাড়িতে কাটিয়েছে এখন তারা একজন পরিচর্যাকারীর সাথে কাটায় – এবং শ একদম স্পষ্ট করে বলেন যে, যদিও শিশু পরিচর্যা ভাল, এটি কখনই ভাল হতে পারে না।
শ’র জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল যে, এমন একটি সময়ের মাঝামাঝি যখন নারীরা তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির উন্নতি ঘটাতে শুরু করছে, তখন তারা মা হিসাবে তাদের ভূমিকা হ্রাস করছে।
সন্তান লালন-পালনের বেলায় একজন ৭৬ বয়সী সাদা-মনের সমতাবাদী মানুষ যতই চেষ্টা করুক না কেনো সে প্রত্যাশিত মানে পৌঁছাতে পারেন না। আমাদের সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে আমাদের পারিবারিক কাঠামোর উন্নত করতে পারি সে সম্পর্কে শ প্রায়শই একজন মহিলার কি করা উচিত তা নিয়ে কথা বলেন ( যেমন অগ্রণী চিন্তা করা, সন্তান লালন-পালনে ভালভাবে মানানসই এমন ক্যারিয়ার নির্বাচন করা, সন্তানদের কাছাকাছি থাকা যায় এমন ক্যারিয়ার নির্বাচন করা এবং ইত্যাদি)। তিনি মনে করিয়ে দেন যে বাবাদেরও একটি ভূমিকা রয়েছে, তিনি দ্রুত স্বীকার নেন যে যে সন্তান লালন-পালনে বাবারাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা স্বীকার করার আগে, তার অন্তরের গভীরে তিনি বিশ্বাস করেন যে মায়েরা লালন-পালনে উপযুক্ত এবং সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আমলে নেওয়া হয়।
আমাদের সবাইকে যা করতে হবে তা হলো, শ বলেন, আমাদের সাধারণ অনুভূতিকে শুনতে শুরু করা। “একজন পিতা বা মা হিসেবে নিশ্চিত করুন যে, আপনি সবসময় আপনার কোন কাজটি করা উচিৎ তা জানেন কিনা। শিশুদের সঙ্গে কিছু নিয়ম-কানুন থাকা চাই এবং সেই নিয়ম-কানুন তৈরি করা নির্ভর করে আপনার উপর। আপনার সন্তানের সাথে সময় দেওয়ার বেলায় আপনি নিজের প্রতি সৎ রয়েছেন কিনা তা আপনি জানেন এবং এটি করা সঠিক কাজ বলে মনে করে কি না। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন; সেই অনুভূতিতে বিশ্বাস করুন, এবং যদি ত সঠিক না হয়ে থাকে তাহলে সে সম্পর্কে কিছু করুন। আপনার সন্তানদের সাথে সময় কাটান, জীবনের জন্য আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় এমন সব জিনিস সম্পর্কে তাদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে নিজেকে অনুমতি দিন।
“প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি মনোভাব: আপনি তাদের বাবা বা মা, তাদের বন্ধু নন, আপনি তাদের লালন-পালনকারী, তাদের শিক্ষক, এবং কিভাবে জীবন-যাপন করতে হবে তা তাদের শেখানো আপনার দায়িত্ব। আপনার হাতেই রয়েছে সেই নির্দেশিকা, আপনিই নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করবেন। ভুলে যাবেন না যে সন্তান লালন-পালনের মাধ্যমে কোনো বাবা-মা’ই টাকা উপার্জন করেনা: বিজ্ঞাপনদাতারা চায় বাবা-মারা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ুক কারণ যখন বাচ্চারা খাদ্যশস্য ও মিষ্টি এবং খেলনার জন্য চিৎকার করে কান্না করে এবং তাদের যা ইচ্ছা তাই করে তখন বিজ্ঞাপনদাতারা অর্থ আয় করে।
“শিশুর যত্ননেওয়া সম্পর্কে শ’র নির্দিষ্ট অভিমত রয়েছে (“উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন বয়স্ক শিশু”, যার ক্রমাগত উদ্দীপনা প্রয়োজন এবং যে রাতে তার বাবা-মাকে জাগিয়ে রাখে, মনে হয় যেখানে পচন শুরু হয়); মল-মূত্র ত্যাগের প্রশিক্ষণ (potty training) (আড়াই বছরের মধ্যে দয়া করে কোনো মল-মূত্র ত্যাগের প্যান্ট দেবেন না); এবং কোনো শিশুর টিভি দেখার মাত্রার দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন (কিছুই না, তিনি আমাকে বলে, অথবা অন্তত পাঁচ বছরের আগে কোন শিশুকে একাকী টিভি দেখতে দেওয়া চলবে না)।
এটা একটি কঠিন বার্তা, কিন্তু শ এক মিনিটের জন্যও ভান করেন না যে সন্তান লালন-পালন কখনও একটি সহজ বিষয় হতে পারে বা সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও সহজ হতে পারে। শ আমাকে বলেছিলেন কিভাবে তার নিজেরও চারটি সন্তান বড় হচ্ছে , তিনি এবং তার স্ত্রী জুডিথ, তাদের পছন্দের উপশহর থেকে চলে যাওয়ার মতো কঠিন এবং ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারণ সেখানকার তরুণদের মাঝে যে ধরনের প্রভাব তারা তাদের সন্তানদের জন্য প্রত্যাশা করেছিলেন সে ধরনের প্রভাব তাদের মাঝে ছিল না: তারা ছিল আত্ম-কেন্দ্রিক, তাদের অনেক সম্পদ ছিল এবং তারা ছিল খুবই বেপরোয়া। শ’র পরিবার চলে গেলো; তিনি এখনও তাদের সেই চলে যাওয়ার জন্য অনুতপ্ত হন।
বাবা হিসেবে তার নিজেরও আক্ষেপ আছে। “এটি একটি অনিবার্য ব্যাপার যে আপনি আপনার সন্তানদের নিরাশ করবেন। কষ্টদায়ক কোনো কিছু না করে কেউ সন্তান লালন-পালন করে না…. আমি যখন আমার বাচ্চাদের এবং তাদের চাহিদার প্রতি প্রায় অবচেতন ছিলাম তখন আমার মুহূর্ত ছিল ভয়াবহ। কিন্তু শিশুদের সমন্বয়সাধন ক্ষমতা রয়েছে: কোনো একটি ভুলের কারণে আপনি বাচ্চাদের হারাতে পারেন না।”
না বললেও তিনি বোঝাতে চান, যে আপনার সন্তানকে হারাতে হলে বা কোনো বাচ্চার জীবনকাল হারাতে একটি ভুলে ভরা জীবনকালের প্রয়োজন। এবং তা হল, যদি আমরা আমাদের নিজের সাথে যোগাযোগ হারাতে না পারি, এখনই সময় তা পরিবর্তন করার।
إرسال تعليق